• শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এমপি তানভীর ইমামের চা-চক্র ও উঠান বৈঠকে জনতার ঢল তিননান্দিনা রশিদিয়া দিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ লোডশেডিং কমাতে বাড়ছে বিদ্যুৎ আমদানি ও উৎপাদন গুজব ঠেকাতে বিশেষ সেল তৈরির পরিকল্পনা ঢাকায় আরও ৫ পাসপোর্ট অফিস চালুর উদ্যোগ ভ্রমণসহ নানা নিষেধাজ্ঞা আসছে খেলাপিদের জন্য মিয়ানমারে ফিরে যেতে বড় সমাবেশ রোহিঙ্গা শিবিরে পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষে যুক্ত হচ্ছে বেসরকারি সিসি ক্যামেরা মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে স্বস্তি সেনাবাহিনীর বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন গুণগত শিল্পায়নের পথে দেশ দ্রুত এগিয়ে চলছে: প্রধানমন্ত্রী নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে : রাষ্ট্রপতি তাড়াশে ডাকাতি প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাত দলের ২জন সদস্য গ্রেফতার সলঙ্গার ধুবিল ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা সলঙ্গার রামকৃষ্ণপুরে নির্বাচনের ১৬ মাস পর পরাজিত প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা প্রেমের টানে পরিবার ছেড়ে ভারতীয় তরুণী ছুটে এলেন উল্লাপাড়ায় তাড়াশ পৌরসভা নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২জন উল্লাপাড়ায় মাদককে লাল কার্ড প্রদর্শন করলো শিক্ষার্থীরা তাড়াশের মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে উন্মুক্ত বাজেট সভা অনুষ্ঠিত

স্ত্রীর ফাঁদে ফেলে ভিডিও করে বিত্তবানদের ব্ল্যাকমেইল!

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০২২

ধনাঢ্য ও কর্পোরেট ব্যক্তিদের ‘টার্গেট’ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ত্রী ও তার সহযোগী নারীর আইডি থেকে পাঠানো হতো বন্ধুত্বের অনুরোধ। এরপর বন্ধুত্ব গড়ে ডেকে নেওয়া হতো বাসায় বা হোটেলে।

টার্গেট ব্যক্তিদের বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করা হতো। এরপর আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও ধারণের পর ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেওয়া হতো মোটা অংকের টাকা।

গত ২ বছরে এভাবে ফাঁদে ফেলে ধনাঢ্য ও কর্পোরেট অর্ধশতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে আল মাহমুদ ওরফে মামুন নামের এক ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন একটি চক্র।

এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) ভোরে রাজধানীর ভাটারা ও দক্ষিণখানে অভিযান চালিয়ে দুই নারীসহ প্রতারক চক্রটির সাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

গ্রেফতাররা হলেন- আল মাহমুদ ওরফে মামুন, আকরাম হোসেন ওরফে আকিব, মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া, তানিয়া আক্তার, মো. রুবেল, মো. মহসীন ও মো. ইমরান। তাদের কাছ থেকে অশ্লীল ছবি ও গোপন ভিডিও ধারণ কাজে ব্যবহৃত ১৪টি মোবাইল ফোন ও ২টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার  দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি একজন ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন, গত ২২ জুলাই তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মাস্তুরা আক্তার প্রিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ হয়। গত ১০ আগস্ট প্রিয়া কৌশলে রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকায় তার বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যায়।

রুমের ভেতরে ঢোকার পর পরিকল্পিতভাবে প্রিয়া ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক ভিকটিমকে বিবস্ত্র করে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে। পরে ক্যামেরায় ধারণকৃত এসব অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ভুক্তভোগীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।

ভুক্তভোগীর বিকাশের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক ১ লাখ টাকা ও ব্যাংক চেকের মাধ্যমে ৪ লাখ টাকা জোরপূর্বক হাতিয়ে নেয়।

সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে ভুক্তভোগী ঘটনা চেপে গেলেও এক সপ্তাহ পর গ্রেফতার আল মাহমুদ ভুক্তভোগীর কাছে আরও ২ লাখ টাকা দাবি করেন। দাবি করা দুই লাখ টাকা না দিলে অশ্লীল ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়।

এরপর ভুক্তভোগী নিরুপায় হয়ে র‍্যাব-১ এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করে আইনগত সহায়তা চান। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।

লে. কর্নেল মোমেন বলেন, এই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতা আল মাহমুদ ওরফে মামুন ও তার স্ত্রী তানিয়া আক্তার ও সহযোগী মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া। এ দুই নারীর ছবি ও ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রলোভন দেখিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আবাসিক ফ্ল্যাট বা হোটেলে আমন্ত্রণ জানাতো। ভুক্তভোগীরা ওই স্থানে উপস্থিত হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী অন্যান্য সদস্যরা ভয়-ভীতি দেখিয়ে ভুক্তভোগীদের জিম্মি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতো।

এ কৌশলে চক্রটি গত ২ বছরে অর্ধ শতাধিক ভুক্তভোগীকে ব্ল্যাকমেইল করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। অসদুপায়ে অর্জিত টাকায় গ্রেফতাররা রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় বিলাসবহুল জীবন-যাপন করে আসছিল।

গ্রেফতার দুই নারী সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার হওয়া একজন আল মাহমুদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার। তারা দুজনে পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করতেন।  এছাড়া মাস্তুরা আক্তার প্রিয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর