সিরাজগঞ্জে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ শতাধিক শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এরমধ্যে ১০৮টি প্রধান শিক্ষক ও ৩১৩ টি সহকারি শিক্ষকের পদ রয়েছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম এখন চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলায় মোট ১৬৭১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয় গুলোতে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের ৪২১টি পদ শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে।
এরমধ্যে উল্লাপাড়ায় সহকারি শিক্ষক ৫৪, কাজিপুরে সহকারি শিক্ষক ২২ ও প্রধান শিক্ষক ১৮, কামারখন্দে সহকারি শিক্ষক ৩৪, চৌহালীতে সহকারি শিক্ষক ০৯ ও প্রধান শিক্ষক ৭, তাড়াশে সহকারি শিক্ষক ২৪ ও প্রধান শিক্ষক ১১, বেলকুচিতে সহকারি শিক্ষক ৪৫, রায়গঞ্জে সহকারি শিক্ষক ৩৫ ও প্রধান শিক্ষক ১২, শাহজাদপুরে সহকারি শিক্ষক ২৮ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় সহকারি শিক্ষক ৬২ ও প্রধান শিক্ষকের ৬০ টি পদশূন্য রয়েছে।
এ কারণে বর্তমানে দায়িত্ব পালনকারী শিক্ষকরা বিপাকে পড়েছেন। এজন্য তাদেরকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। বেশি সংখ্যক ক্লাস নেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সঠিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে এবং সেইসাথে দাপ্তরিক কাজেও বিঘ্ন ঘটছে।
বিশেষ করে চরাঞ্চলে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্কুল ম্যানেজিং কমিটি ও অভিবাবকেরা জানান, শিক্ষক সংকটের কারণে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় শিক্ষকরা ঠিকমতো পাঠদানে মনোনিবেশ করতে পারছেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন সহকারী শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকলে প্রতিষ্ঠানের কোনো শৃঙ্খলা থাকে না।
শিক্ষকরা নিজের ইচ্ছামতো চলেন। এছাড়া একজন সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেয়া হলে তিনি দাপ্তরিক কাজ নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান দিতে পারেন না। এতে করে শিক্ষক সংকট আরো বেড়ে যায়।
এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল ফারুক এসব তথ্য স্বীকার করেন এবং তিনি বলেন, শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় পাঠদানে কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। তবে শিক্ষকদের পাঠদানের ক্ষেত্রে নজরদারিও রাখা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকের পদ শুন্য সংক্রান্ত রিপোর্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য পদন্নতি দিয়ে প্রধান শিক্ষকের পদগুলো পূরণের উদ্যোগ নেয়া হবে এবং সহকারী শিক্ষকের পদগুলো সরকারি বিধিমতে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এ শিক্ষক শূন্য পদ পূরণ হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।