সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ১২:২৬ অপরাহ্ন

সিরাজগঞ্জের দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগে নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • সময় কাল : সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০২২
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শিক্ষক, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে বেলকুচি উপজেলার উপজেলার চালা গ্রামের আব্দুল্লাহ, মোকন্দগাঁতী গ্রামের আবুল হোসেন ও দেলুয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১ জুন ২০০০ইং সালে দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় শরীর চর্চা শিক্ষক হিসেবে আব্দুল আওয়াল যোগদান করেন। তিনি নিয়োগকালীন সময়ে তার বি, পি, এড প্রশিক্ষণ ছিলো না। বিধায় সরকারী বেতন প্রাপ্য ছিলো না। পরবর্তীতে ২০০২ সালে তিনি বি, পি, এড প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। কিন্তু ১ জুন ২০০০ সাল হইতে ২৫৫০ টাকা স্কেলে সরকারী বেতন উত্তোলন করেন। এই ঘটনায় গত ১০ এপ্রিল ২০০৭ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আব্দুল মজিদ স্বাক্ষরিত একটি পত্রে শরীর চর্চা শিক্ষক আব্দুল আওয়ালকে তৎকর্তৃক গৃহীত ৯৪ হাজার ৪শ টাকা সরকারী কোষাগারে ফেরত দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন এবং তার ব্যক্তিগত হিসাব নম্বর থেকে টাকা কর্তনের সুপারিশ করার জন্য আদেশ দেন। পরবর্তীতে আব্দুল আওয়াল সেই টাকা ফেরত না দিয়ে এখন চাকুরীতে বহাল রয়েছে।

অপর দিকে গত ২০০৪ সালে একই প্রতিষ্ঠানের হিসাব সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে শিবলী সাদিক যোগদান করেন। যোগদানের সময় কম্পিউটার অপারেটর পদে কম্পিউটার বিষয়ে সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের সার্টিফিকেট কিনে এনে চাকুরী করছে।

একইভাবে এই প্রতিষ্ঠানে ২০০১ সালে গণিত শিক্ষক হিসেবে আনোয়ার হোসেন যোগদান করেন। শিক্ষা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রির নামই বিএড (ব্যাচেলর অব এডুকেশন) ও এমএড (মাষ্টার অব এডুকেশন)। শিক্ষকতা পেশায় যারা কর্মরত তাদের জন্যই এসব কোর্স। কিন্তু আনোয়ার হোসেন সেই কোর্স সম্পন্ন না করে গত ২০০৬ সালে শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে বিএড সার্টিফিকেট কিনে এনে জমা দিয়েছে। সেই সাথে সরকারী বেতন-ভাতা উত্তোলন করে আসছে।

অভিযোগে আরো উল্লেখ আছে, ২০ এপ্রিল ২০১৩ সালে আয়েশা সিদ্দিকা নামে একজন প্রভাষক রাষ্ট্র বিজ্ঞান পদে মাদ্রাসায় যোগদান করেন। কিন্তু জানা যায়, ঐ মাদাসায় রাষ্ট্র বিজ্ঞান নামে কোন সাবজেট নেই।

দেলুয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ মোঃ নুরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, আমার যোগদানের আগেই আব্দুল আওয়ালের নিয়োগ হয়েছে। আব্দুল আওয়াল দুই বছর সরকারী টাকা বেশি নিয়েছিলো। সেই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি কাগজ পেয়েছিলাম।

তিনি আরো বলেন, আমাদের মাদ্রাসায় রাষ্ট্র বিজ্ঞান নামে কোন সাবজেট নেই। আয়শা সিদ্দিকাকে ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ দিয়েছে। আমি সেই ব্যাপারে অবগত নই।

অধ্যক্ষ আরো বলেন, শিবলী সাদেকের সরকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট দেইনি। গণিত শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বি এড কোর্সের সার্টিফিকেট শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি থেকে এনে দিয়েছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি মোঃ বদিউদজ্জামান বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের নিয়োগের সময় আমি সভাপতি ছিলাম না। এই বিষয়ে আপনি অধ্যক্ষর সাথে কথা বলেন।

বেলকুচি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এস এম গোলাম রেজা বলেন, এই বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি।  এই নিয়োগগুলো অনেক আগে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং এই বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ বিভাগের আরও খবর
এই নিউজ পোর্টালের লেখা,ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা নিষেধ।
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102