প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নিজ মোটরসাইকেলে আগুন দিয়ে ৯৯৯ কল দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে সলঙ্গা থানার চকবরু গ্রামে এ ঘটনা ঘটিয়েছে মজনু প্রামানিক নামে এক ব্যক্তি।
স্থানীয়রা জানান, সলঙ্গা থানার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চকবরু গ্রামের মজনুর ছেলে নোমান ও একই গ্রামের খোকনের ভাগিনা মাহিমের সাথে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি নিয়ে গত ৩ অক্টোবর বিকেলে গ্রাম শালিসি বৈঠক বসে মিমাংসার চেষ্ঠা করেন।
শালিসি বৈঠক মজনুর ছেলে নোমানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। পরে নোমানের বাবা মজনু ভুল শিকার করে এবং শালিসি বৈঠক পরবর্তিতে করা কথা বলে মজনু শালিসি বৈঠক থেকে চলে যায়।
পূর্বের মারপিটের জের ধরে শুক্রবার সকালে মজনু ও খোকনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আবারো মজনু ও খোকনের মধ্যে মারপিট ঘটনা ঘটে। পরে গ্রামের লোকজন এসে দুই জনকে সরিয়ে দেয়।
পরে প্রতিপক্ষ খোকনকে ফাঁসাতে মজনুর মোটরসাইকেল গ্রামের মজিদের বাড়ির সামনে রাখা ছিলো সেই মোটরসাইকেলের তেলের লাইন খুলে নিজের মোটরাসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেয় মজনু নিজেই।
অভিযুক্ত খোকন বলেন, পূৃর্বে মারপিটে ঘটনায় আমি বাদি ছিলাম। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মজনু আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। শুক্রবার সকালে আমার দোকানের সামনে আমাকে মারতে আসে। এক পর্যায়ে দুইজনের ভিতর হাতাহাতি হয়। গ্রামের লোক জন আমাদের ছারিয়ে দেয়। পরে আব্দুল মজিদের বাড়ির সামনে রাখা মোটরসাইকেলে তেলের লাইন খুলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় মজনু নিজেই।
নিজ মোটারসাইকেল আগুন ধরিয়ে দেওয়া মজনু আলম বলেন, সকালে আমি ভাইয়ের মিলে যাচ্ছিলাম হঠাৎ পথে আমাকে গাড়ীর গতিরোধ করে আমাকে মারধর করে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এবিষয়ে মজনু আলম মুঠোফোনে বলেন, থানায় অভিযোগ করেছি। থানায় কার নামে অভিযোগ করেছেন জানতে চাইলে তিনি ফোনের লাইন কেটে দেন।
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান,শুক্রবার সকালে চকবরু এলাকা থেকে ৯৯৯ ফোন করে মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া ঘটনা জানায়। পরে সেখান থেকে মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
মজনু নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছে, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।