• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্য বিনিয়োগ ও ভূরাজনীতি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান এপ্রিলের ১৯ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ডলার চালের বিকল্প হিসেবে গম আমদানি করছে সরকার এবার ৪৫ টাকা কেজিতে চাল ও ৩২ টাকায় ধান কিনবে সরকার উন্মুক্ত হতে পারে কুয়েতের শ্রমবাজার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাংলাদেশ সর্বদা প্রস্তুত : প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার মাধ্যমেই মেধা বিকাশের সুযোগ হবে মন্ত্রী-এমপির নিকটজনদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ ওবায়দুল কাদেরের টিকফা নিয়ে ঢাকা-ওয়াশিংটন বৈঠক আজ যমুনার বুকে দৃশ্যমান হলো দীর্ঘতম বঙ্গবন্ধু রেলসেতু জাতিসংঘে পার্বত্য শান্তিচুক্তির অর্জন তুলে ধরল ঢাকা অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধ করা হবে কাতার আমিরের সফরে ১০ চুক্তি ও সমঝোতার প্রস্তুতি জলবায়ু খাতে ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গ্রেপ্তারদেরও কর্মী দাবি করে বিএনপি আট মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ ৯০ ভাগ

সাহেদ খান জয়,তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:

বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক আব্দুস সালাম তাড়াশ পৌরসভার মেয়র পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৪১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩

মোঃ আব্দুস সালাম তাড়াশ পৌরসভার মৃত কোবাদ হোসেনের ছেলে। কোবাদ হোসেন ছিলেন একজন স্বাস্থ্যকর্মী এবং আওয়ামীলীগের সক্রিয় সমর্থক। তিন ভাইয়ের মধ্যে আব্দুস সালাম মেজো। বড় ভাই এস. আলম তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনিও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের তাড়াশ উপজেলা শাখার যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক, আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং সর্বশেষ ২০১৩-২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে কার্যকরী সদস্যের দায়িত্ব পালন করছেন। বড় ভাই এস আলম উপজেলার বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত এবং সমাজে তিনি একজন ন্যায় বিচারক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। ছোট ভাই মোঃ ফুলজার হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। চাকুরীতে প্রবেশের পূর্বে তিনিও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ শাখার একজন কর্মী ছিলেন।

আব্দুস সালামের স্ত্রী ও তিন সন্তান। স্ত্রী ময়না খাতুন একজন আদর্শ গৃহিনী। গৃহকার্য্যের সাথে স্বামীর রাজনৈতিক জীবনে নিবিরভাবে সহায়তা করে থাকেন। স্বামীর রাজনীতিতে বিচরণ এবং সমাজের মানুষের উপকারে সর্বদা অনুপ্রেরণা দিয়ে থাকেন। তিনিও আওয়ামী পরিবারের একজন সদস্য এবং তার বড় ভাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। প্রথম সন্তান এম. এফ. সিয়াম উচ্চ মাধ্যমিকে দ্বিতীয় সন্তান সিকাত সাদী মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগে অধ্যয়নরত এবং তৃতীয় সন্তান সাইফ-এর বয়স মাত্র দুই বছর ।

বর্তমান পেশাঃ
মোঃ আব্দুস সালাম বিএসসি তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত আছেন। সেই সাথে তাড়াশ বাজারে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। শিক্ষকতা ও ব্যবসার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে স্থানীয়ভাবে রাজনীতি করেন । ১৯৯১ সাল থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত ৩২ বছর যাবত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এবং তার অঙ্গসংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের সাথে সাথে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী বিএনপি’র স্বৈরাচারী নির্বাচনে বিএনপি ও জামায়াতের সন্ত্রাসীদের হামলায় আব্দুস সালাম মারাত্মকভাবে আহত হোন এবং তাড়াশ হাসপাতালে ভর্তি হলে কর্মরত চিকিৎসকগন মৃত্যু আশংখ্যা প্রকাশ করে দ্রুত সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানে সাবেক মন্ত্রী আলহাজ মোহাম্মদ নাসিম এবং বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ হোসেন আলী হাসানের তত্ত্বাবধানে দীর্ঘদিন চিকিৎসান্তে বাড়ী ফিরেন।
শারীরিক-মানষিক ও মামলা-হামলায় আব্দুস সালামের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুর ভালবাসা কেরে নিতে পারে নাই। বরং পরবর্তী সময়ে তাড়াশ উপজেলার প্রতিটি অংগে তিনি বলিষ্ঠ কন্ঠস্বরে সৎ, আদর্শ ও নিষ্ঠাবান বঙ্গবন্ধুর কর্মী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন।

মোঃ আব্দুস সালাম বিএসসি’র রাজনৈতিক জীবনঃ
আব্দুস সালাম বিএসসি’র রয়েছে বর্ণাঢ্য রাজনীতির জীবন। তৎকালীন সময়ে ১৯৯১-১৯৯৩ সালে তাড়াশ ইসলামিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় শাখার আহ্বায়কের দায়িত্ব পালনের মধ্যে দিয়ে তার রাজনীতি শুরু।

১৯৯৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল কর্মকান্ডের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সফলতার সাথে বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন, যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯৭-১৯৯৮ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক মনোনীত হয়ে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদে বিপুল ভোটে জিএস পদে নির্বাচিত হোন। এসময় তিনি গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের নানাভাবে পরীক্ষার ফি, জামা কাপড়, পাঠ্য পুস্তুক এমনকি নগদ অর্থ সহ দিয়েও সহযোগীতা দিয়েছেন।

২০০৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, তাড়াশ উপজেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০১৪ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, ভাড়াশ উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালীন সময়ে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ অধ্যাপক ডা: মোঃ আব্দুল আজিজ এমপি’র নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উপজেলা পর্যায়ে কোষাধ্যক্ষ হিসেবে এবং সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিজয়ের নিমিত্তে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়েছেন।
২০২০ সালে তাড়াশ উপজেলার শাখার আ’লীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্বও পালন করেছেন।

সামাজিক দায়িত্ব পালনে আব্দুস সালামের ভুমিকাঃ
সামাজিক দায়িত্ব পালনে আব্দুস সালামের স্বচ্ছতা এবং দৃষ্টি নন্দিত উন্নয়ন তাড়াশবাসীর চমকে দিয়েছে। ফলশ্রুতিতে ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি তাড়াশ কেন্দ্রীয় কবরস্থান পরিচালনা কমিটির তিনি সাধারণ সম্পাদক।

লোকমুখে খবর পেলেই ছুটে যান অসহায়দের পাশে। নিজস্ব অর্থায়নে প্রদান করেন আর্থিক সহযোগীতা। খবর নিয়ে জানা যায়- বর্তমানে তিনি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসংখ্য অসহায় বয়ঃবৃদ্ধ পরিবারকে মাসিক খরচ হিসাবে চাল ডাল সহ প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদান করেন।
শীতকালে বাড়ী বাড়ী গিয়ে শত শত কম্বল বিতরণ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার মানুষকে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা দেন তিনি।
তাড়াশ উপজেলা শিক্ষক সমাজেও রয়েছে বিশেষ অবদান। শিক্ষক সমাজে একজন ন্যায় বিচারক হিসাবে সবাই জানেন তাকে। শিক্ষকদের বিপদ আপদের একমাত্র ভরসাস্থল তিনি।
একারনে তাড়াশ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির বার বার সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হয় আব্দুস সালামকে।

করোনাকালীন সময়ে দায়িত্ব পালনঃ
করোনাকালীন সময়ে নিজ উদ্যোগে কর্মহীন মানুষদের মধ্যে খাদ্য-সামগ্রী, শিশু খাদ্য, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ব্লিচিং পাউডার, সাবান, সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণসহ জনসচেতনামূলক হাজার হাজার লিফলেট বিতরণ করেছেন। এছাড়া করোনার প্রাথমিক পর্যায় থেকে প্রথম তিন মাস গরীবের হোটেল খানা খুলে নিয়ে প্রতিদিন প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া ১শত পঞ্চাশ জনকে দুপুরের খাবার প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে প্রতি শুক্রবার ২শ গরীব অসহায় মানুষকে দুপুরের খাবার দিয়েছেন।
জনপ্রতিনিধি হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সুদীর্ঘ ৩২ বছর রাজনীতি করতে গিয়ে আন্দোলন সংগ্রামে বিভিন্ন মামলা ও নির্যাতনে স্বীকার হয়েছি। কিন্তু মানুষের ভালবাসার কাছে আমি বার বার পরাজিত হয়েছি।

সততার রাজনীতির মুল্যায়ন সর্বদাই মহান রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত যাহা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে স্বর্ণ শিখরে ও মানুষের হৃদয়ের মনি কোঠায় ঠাই করতে পারে। তিনি আরো জানান, একমাত্র সৎ এবং শিক্ষিত জনপ্রতিনিধিগনই সমাজের দৃষ্টি নন্দিত উন্নয়ন করতে পারে। তাড়াশের অবহেলিত জনগোষ্ঠির রাস্তা-ঘাট, শিক্ষা ব্যবস্থাপনার অগ্রগতিসহ সার্বিক উন্নয়নে আ’লীগের একজন কর্মী ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই। আমি তাড়াশ উপজেলার কৃষককূলের সাথে, সমাজের খেটে খাওয়া মানুষ এবং শিক্ষিত বেকার সমাজের উন্নয়নে চেষ্টা করবো। পাশাপাশি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সুজলা-সুফলা, শস্য-শ্যামলা এবং ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। এ লক্ষ্য পূরণে আল্লাহ যেন আমাকে কামিয়াবী করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর