• শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
ডলারের দাম আরও কমলো রিটার্ন জমার সময় দুই মাস বাড়িয়েছে এনবিআর জ্বালানি তেলের বিপিসির কর-পূর্ববর্তী মুনাফা ৬২৯৬ কোটি টাকা শেষ মুহূর্তে লাগাম তৃণমূল বিএনপির ২৩০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা নতুন ব্যয়ে কঠোর বিধিনিষেধ ভূমিসেবা মনিটরিংয়ের দায়িত্ব পেলেন ১৯ কর্মকর্তা ঋণ-আমানতের সুদহারে সীমা প্রত্যাহার পার্বত্যাঞ্চলে দেশের উঁচু সড়ক নির্মাণের কীর্তি প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য সুন্দর নির্বাচন পদ্মা সেতুর প্রভাবে বড় প্রবৃদ্ধি সরকারের টোল রাজস্বে বিএনপির অনেকেই হচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে উচ্ছাস ‘তথ্যভাণ্ডার হচ্ছে বিদেশফেরত কর্মীদের’ বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা নতুন মজুরি কার্যকরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কারখানা মালিকরা কোটি টাকার বেশি জামানত মূল্যায়ন করবে সার্ভেয়ার কোম্পানি বিদেশফেরত ২ লাখ কর্মীকে প্রণোদনা দেবে সরকার বাংলাদেশকে ১০৩ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে সহায়তা দিন

ফকির আলমগীরের চিরবিদায়ের এক বছর

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০২২

রেলগাড়ির চাকার গতিতে ছুটে চলছে সময়। দেখতে দেখতে গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর চলে যাওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো আজ। ২০২১ সালের ২৩ জুলাই আনন্দলোক থেকে অনন্তলোকের পথে পাড়ি জমান তিনি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই কিংবদন্তি।

ফকির আলমগীর ষাটের দশক থেকে সংগীতচর্চা করেছেন। গান গাওয়ার পাশাপাশি বংশীবাদক হিসেবে তার খ্যাতি ছিল। বাংলাদেশের সব ঐতিহাসিক আন্দোলনে তিনি তার গান দিয়ে মানুষকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন। তিনি ১৯৬৬ সালে ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ক্রান্তি শিল্পীগোষ্ঠী ও গণশিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে ষাটের দশকে বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে এবং উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানে গণসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। গণ–অভ্যুথান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও নব্বইয়ের সামরিক শাসনবিরোধী গণ–আন্দোলনে তিনি শামিল হয়েছিলেন তার গান দিয়ে।

যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে সঞ্চিত যন্ত্রণাকে প্রকাশ করার জন্যই দেশজ সংগীতের সঙ্গে পাশ্চাত্য সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে তিনি ও তার সময়ের কয়েকজন শিল্পী শুরু করেছিলেন প্রথম বাংলা পপ ধারার গান। বাংলা পপগানের বিকাশেও তার রয়েছে বিশেষ অবদান।

ফকির আলমগীরে জনপ্রিয় একটি গানের নাম ‘ও সখিনা’। ১৯৮২ সালের বিটিভির ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকের মধ্যে সাড়া ফেলে। কণ্ঠ দেওয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ফকির আলমগীরের গাওয়া ‘সান্তাহার জংশনে দেখা’, ‘বনমালী তুমি’, ‘কালো কালো মানুষের দেশে’, ‘মায়ের একধার দুধের দাম’, ‘আহা রে কাল্লু মাতব্বর’, ‘ও জুলেখা’সহ বেশকিছু গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।

সংগীতে অবদানের জন্য ১৯৯৯ সালে একুশে পদক পান ফকির আলমগীর। এ ছাড়া শেরেবাংলা পদক, ভাসানী পদক, জসীমউদ্‌দীন স্বর্ণপদকও অর্জন করেছেন এই গুণী শিল্পী।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর