• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে কাতারের আমির আসছেন সোমবার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকাতে ক্যাশলেস পদ্ধতিতে যাচ্ছে এনবিআর বাংলাদেশে দূতাবাস খুলছে গ্রিস বঙ্গবন্ধু টানেলে পুলিশ-নৌবাহিনী-ফায়ার সার্ভিসের জরুরি যানবাহনের টোল মওকুফ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ ৫০ বছরে দেশের সাফল্য চোখে পড়ার মতো চালের বস্তায় জাত, দাম উৎপাদনের তারিখ লিখতেই হবে মন্ত্রী-এমপির প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ প্রাণী ও মৎস্যসম্পদ উন্নয়নে বেসরকারি খাত এগিয়ে আসুক ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংকের আমানত বেড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ বঙ্গবাজারে দশতলা মার্কেটের নির্মাণ কাজ শুরু শিগগিরই বেঁচে গেলেন শতাধিক যাত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী

প্রধানমন্ত্রী আজ কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৩৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকাল ১০টায় মিরপুরের কালশী ফ্লাইওভার উদ্বোধন করবেন। এর পরই চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে এ ফ্লাইওভার। এ উপলক্ষে কালশী বালুর মাঠের জনসভায় বক্তব্য দেবেন শেখ হাসিনা। ২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা ও রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরো সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

গতকাল এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কালশী ফ্লাইওভার মিরপুরবাসীর জন্য বসন্তের উপহার। ফ্লাইওভারটি চালুর পর প্রতিদিনের যানজট সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে মিরপুরের বাসিন্দারা।

প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিরপুরবাসীর বহুল প্রত্যাশিত ছিল কালশী ফ্লাইওভার। বিমানবন্দর সড়ক থেকে মিরপুর এলাকায় ঢোকার একটা প্রবেশপথ কালশী সড়ক। তবে ওই এলাকায় সবসময় যানজট লেগে থাকত। যানজটের ভয়ে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে মিরপুর যেতে হতো। ফ্লাইওভার নির্মাণ হওয়ায় আর তা করতে হবে না।

ফ্লাইওভারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচিতে রয়েছে, সকাল ৯টায় অতিথিরা আসন গ্রহণ করবেন। সকাল ১০টার পর প্রকল্পের বাস্তবায়িত কার্যক্রমের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করবেন প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা। পরে মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর সুধী সমাবেশ মঞ্চে প্রধান অতিথিসহ অন্য অতিথিরা আসন গ্রহণ করবেন। পবিত্র ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে জনসভার বক্তৃতা পর্ব শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম স্বাগত বক্তব্য দেবেন। প্রকল্প সম্পর্কিত উপস্থাপনা ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করবেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের জেনারেল মো. মনোয়ারুল ইসলাম সরদার। এছাড়া আরো বক্তব্য রাখবেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এসএম শফিউদ্দিন আহমেদ, ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি অর্থায়নে ফ্লাইওভারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই কিলোমিটার ফ্লাইওভার (১ দশমিক ৭ কিলোমিটার) নির্মাণের পাশাপাশি সড়ক, ফুটপাত ও ড্রেনের উন্নয়নকাজও করা হয়েছে। ৩ দশমিক ৭ কিলোমিটার সড়ক, ফুটপাত প্রশস্তকরণ, সড়ক বিভাজক তৈরি, ড্রেন নির্মাণ ও কমিউনিকেশন ডাক্টও তৈরি করা হয়েছে।

এ প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রায় সাড়ে ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্পের স্বত্বাধিকারী সংস্থা ডিএনসিসি। উদ্বোধনের পর থেকে প্রকল্পের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে ডিএনসিসি।

প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিদ্যমান ৩ দশমিক ৭০ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন এবং কালশী মোড়ে ফ্লাইওভার (২ হাজার ৩৩৫ মিটার) নির্মাণের মাধ্যমে উন্নয়নমূলক কাজ সম্পাদন করা হয়। এগুলো হলো মিরপুর, পল্লবী, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, উত্তরা-মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতকরণ, সড়কের পাশের আবাসিক এলাকার জন্য নিরাপদ সড়ক নির্মাণ, সড়কে যানবাহন ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি ও যানজট নিরসন, সড়কটিতে সাইকেল চালানোর সুবিধা প্রদান, পথচারীদের ফুটপাত ব্যবহারের সুবিধা, পথচারীর নিরাপদ সড়ক পারাপারের উদ্দেশ্যে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ, যাত্রীসাধারণের জন্য বাস-বে ও যাত্রীছাউনি নির্মাণ এবং জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ বক্স নির্মাণ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নত করা হয়েছে।

এছাড়া রাস্তার সম্প্রসারণ নিশ্চিত হলে মিরপুর, পল্লবী, মাটিকাটা, মানিকদী, ভাসানটেক ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকার সর্বস্তরের জনগণ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। উল্লিখিত এলাকা থেকে এয়ারপোর্ট, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, মহাখালী ও রামপুরার মধ্যে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং ঢাকা শহরের ক্রমবর্ধমান যানজট সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।

ফ্লাইওভার এলাকায় দুটি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে এবং এতে চলন্ত সিঁড়ির ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সাইকেলের জন্য আলাদা লেনও আছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর