• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারপিট আ’লীগ নেতা আরাফাতকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন সলঙ্গা থানা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিলেন রিয়াদুুল ইসলাম ফরিদ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট

দেশের সাড়ে ৩ কোটি শিশু টিকা পেয়েছে

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৫০ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২

 

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের স্কুল-কলেজপড়ুয়া শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। দুটি গ্রুপে টিকাদান কর্মসূচি চলছে। এক গ্রুপে রয়েছে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীরা এবং অন্য গ্রুপে ১২ বছর থেকে ১৭ বছর বয়সীরা। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশের সাড়ে ৩ কোটির বেশি শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এসব তথ্য জানিয়েছে।

জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা শিশুদের টিকা দেওয়ার অনুমোদনের পরই চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। এই বয়সী শিশুদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থায় তৈরি করা হয় ফাইজারের টিকা। ফাইজারের ১৫ লাখ ডোজ করোনা টিকা অনুদানের ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে চলতি বছরের ৩০ জুলাই ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে আসে।

গত ১১ আগস্ট সারা দেশে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের পরীক্ষামূলকভাবে করোনার টিকা দেওয়া হয়। গত ২৫ আগস্ট থেকে শিশুদের প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া শুরু হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও নির্মূল হয়নি। যে কোনো সময় ভাইরাসটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করতে পারে। তাই শিশুসহ সব বয়সীকে টিকার আওতায় আনা জরুরি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (এমএসআই) অধ্যাপক ডা. মো. শাহাদাত হোসেন জানান, গত ১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ কোটি

৭৩ লাখ ৮৩ হাজার ৮৩২ জন এবং ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৭৩ জনসহ মোট ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৩৯ হাজার ১০৫ শিশুকে প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ পেয়েছে তাদের বর্তমানে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে।

এর মধ্যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ১ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ৬৪৫ জন এবং ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী ৯ লাখ ৯১ হাজার ৫৩৮ জনসহ মোট ১ কোটি ৭১ লাখ ৫৩ হাজার ১৮৩ শিশু। অবশিষ্ট ১ কোটি ৭৬ রাখ ৪৫ হাজার ৯২২ শিশু দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় আছে।

কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, স্কুলগামী শিশুদের টিকা দেওয়ার পর জ্বর, ব্যথা হওয়ায় অনেক পিতা-মাতা বিষয়টিকে ভালোভাবে নেননি। শিশুদের টিকা দিতে তাদের কোনো আগ্রহ ছিল না। সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে হবে, তাই বাধ্য হয়েই টিকা দিয়েছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনায় শিশুদের আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার কমলেও তাদের টিকা নেওয়া জরুরি। কারণ, তাদের টিকা দেওয়া না হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে নিজেরা সংক্রমিত হবে, আবার তাদের মাধ্যমে করোনাভাইরাস অন্যদের কাছে ছড়াবে। এতে সংক্রমণ বাড়বে।

টিকাদান সংক্রান্ত সরকারের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম জানান, করোনা একবার বাড়ে, একবার কমে। তাই টিকা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে, যেন করোনা বেশি না বাড়ে। টিকা দেওয়ার কারণ হচ্ছে, যারা নেবে তাদের করোনা হবে না, তারপরও যাদের হবে তাদের জটিলতা হবে না। তাই টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

তিনি বলেন, ‘আমরা যারা কারিগরি কমিটির সদস্য আছি তারা টিকার বিষয়ে সরকারকে পরামর্শ দিয়েছি। সরকার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে টিকা আনা, সংরক্ষণ ও প্রয়োগ করে থাকে। টিকা নিলে হাতসহ শরীরে ব্যথা ও জ্বর আসতে পারে, এটি সেরে যাবে। সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে টিকা গ্রহণ থেকে বিরত থাকা ঠিক হবে না। করোনা থেকে রক্ষা পেতে সবার টিকা নেওয়া উচিত।’

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এ এস এম আলমগীর বলেন, ‘দেশে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলেও নির্মূল হয়নি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ বেড়ে চলছে। সে কারণে শিশুদেরও টিকা নেওয়া জরুরি। না নিলে শিশুদের মাধ্যমে পরিবারের বয়স্ক বা কো-মরবিডিটির মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন এবং জটিলতা বাড়বে, প্রাণহানি ঘটবে। এসব বিষয় বিবেচনায় রেখে শিশুদের টিকা দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা শিশুদের টিকাদানের পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা সবাই এ বিষয়ে অনেক জ্ঞান রাখেন। শিশুদের ও তাদের পরিবারের সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখেই টিকাদান কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। টিকা দেওয়ার পর ব্যথা, জ্বর বা কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভয়ের কিছু নেই।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর