• শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মার্চের দিকে দুর্ভিক্ষ ঘটাতে ষড়যন্ত্র হচ্ছেঃ প্রধানমন্ত্রী বেগম রোকেয়া দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী: শেখ হাসিনা গণহত্যা প্রতিরোধে সম্মিলিত শক্তিকে কাজে লাগানোর আহ্বান ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ৪০ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি হয়রানি ছাড়াই মিলছে হারানো পণ্য, সব তথ্য বাস্তবমুখী ব্যয় পরিকল্পনার পথে সরকার বাংলাদেশের ওপর অযৌক্তিক চাপ আসছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্লোবাল ইকোনমিক ফোরামে বাংলাদেশের উন্নয়ন তুলে ধরলেন সালমান শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে রোল মডেল অবৈধ অস্ত্র উদ্বারে আজ শুরু বিশেষ অভিযান কুয়াকাটায় উদ্বোধন মুজিব’স বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যালের সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে সোয়া কোটি মানুষ ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে থাকবে ভারত : প্রণয় ভার্মা বিদেশি ঋণের সুদের ওপর কর অব্যাহতি পাঁচ বিশিষ্ট নারী পাচ্ছেন বেগম রোকেয়া পদক ১২ ডিসেম্বর চেক হস্তান্তর করবেন র‌্যাব ডিজি মেট্রোরেলের টিএসসি-বিজয় সরণি স্টেশন চালু ১৩ ডিসেম্বর রাশিয়া বাংলাদেশে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে থাকবে ভোটাররা যাতে ভোট দিতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখুন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে চার রাষ্ট্রদূতের শ্রদ্ধা

তুমব্রুর ২ হাজার ৮৮৯ রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ২১ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে আশ্রয় নেওয়া ৫৩৭টি পরিবারের ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। কক্সবাজারে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শেষ হয়েছে। সেখানে ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গার মধ্যে অনেকেরই উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধন রয়েছে। তাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করা হবে।’

এজন্য জাতীয়ভাবে একটি কমিটি হয়েছে জানিয়ে মিজানুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ওই কমিটি এ কাজ করছে। এ ছাড়া যারা কোনো ক্যাম্পে নিবন্ধিত নয়, তাদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। গণনা করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে চিহ্নিত কোনো অপরাধী বা যাদের নামে মামলা রয়েছে তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।’

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইসিআরসি) ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালিত এক পরিসংখ্যানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের এ সংখ্যা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ।

তিনি আরও বলেন, ‘সংঘাতের পর তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশপাশে তাঁবু খাটিয়ে এসব রোহিঙ্গা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শেষ হয় সোমবার।’

জানতে চাইলে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনা সবে শেষ হয়েছে। এখন তাদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যখন সিদ্ধান্ত নেবে, ঠিক তখনই তা বাস্তবায়ন হবে। এর আগে নয়। তবে সময়ক্ষেপণ করা হবে না। কেননা, পরিবেশ রক্ষা এবং তাদের নিরাপত্তা এখন মুখ্য বিষয়।’

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এর আগে বিভিন্ন সময় পালিয়ে আসাসহ অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয় কপবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি অস্থায়ী আশ্রয় ক্যাম্পে। ওই সব ক্যাম্পের সার্বিক দেখভাল ও প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি)।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর