সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার তিননান্দিনা রশিদিয়া দিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশপহরী,আয়া ও পরীচ্ছন্নতাকর্মী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি পছন্দের প্রার্থীদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। নৈশপহরী পদের পছন্দের প্রার্থীকে প্রবেশ পত্র পাঠানো হলেও বাকি প্রার্থীকে পাঠানো হয়নি প্রবেশপত্র। নিয়োগ পরিক্ষার আগেই প্রার্থীকে বাচাই করা হয়েছে বলে নলছিয়া গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে সবুজ (৩৫)নামে এক প্রার্থী অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগকারী সবুজ নৈশপহড়ী প্রার্থী ছিলেন। তিনি বলেন,আগামীকাল শনিবার (১০ জুন)বিদ্যালয় চত্ত্বরে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার তারিখ নির্ধারণ করা হলেও আমাকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি।প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তার পছন্দের লোক হাফিজুলের নিকট হতে ১৭ লাখ টাকার বিনিময়ে নৈশপহড়ী পদে নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,নৈশপহড়ী পদে ১৭ লাখ,আয়া পদে ৫ লাখ ও পরীচ্ছন্নতাকর্মী পদে ৫ লাখ টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যাদের নিকট হতে টাকা নিয়েছে তাদের প্রবেশপত্র পাঠানো হয়েছে। অন্য প্রার্থীদের পরীক্ষার আগেরদিন ফোনে জানানো হয়েছে বলে তারা জানান।নৈশপহরী পদে সবুজকে বলা হয়েছে তোমার কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকায় প্রবেশপত্র দেয়া হয়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল এনামুল হকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যথাযথ নিয়মে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে।নিয়োগে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গাজী আব্দুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটা রিসিভ না করে বন্ধ করে দেন।
রায়গঞ্জ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম,মোবাইল ফোনে জানান,অর্থ নিয়ে ৩ টি পদে নিয়োগের বিষয়টি কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। যদি এব্যাপারে কেউ অভিযোগ করে তাহলে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।