• বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১১ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশে যাচ্ছে চলনবিলের শুঁটকি পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার: স্পিকার এবার ভারত থেকে মাংস আমদানির উদ্যোগ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী ঢাকা সশস্ত্র বাহিনীতে পাঁচ বছরে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম অস্ত্র বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ আরসা কমান্ডার আটক অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পাচ্ছে ছয় প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স লেনদেনের নীতিমালা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ সলঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন সলঙ্গায় শাহীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ডিজিটাল পেমেন্ট নিরাপদ করতে নতুন নীতিমালা জারি সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো হবে গণমাধ্যমের ওপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি টেকনাফে আরসার দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ গ্রেপ্তার ৪ বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন চাপ কমবে রিজার্ভে জ্বালানি তেলের ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি করল সরকার ৮ মাসে চা উৎপাদন ছাড়াল ৫৪.৫৮ মিলিয়ন কেজি রাজধানীতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ফেস্টিভাল

ঢাকায় আরও ৫ পাসপোর্ট অফিস চালুর উদ্যোগ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ২৪ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : শুক্রবার, ৯ জুন, ২০২৩

রাজধানীতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে সেবা সহজলভ্য করতে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর (ডিআইপি)। এরই অংশ হিসাবে ঢাকায় আরও অন্তত পাঁচটি পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া পাসপোর্টের বিদ্যমান জনবল কাঠামোতেও আসছে পরিবর্তন। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার জনবলের একটি প্রস্তাবনা (ডিপিপি) অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, রাজধানীতে এখন সাতটি অফিস থেকে পাসপোর্ট সেবা দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ক্রমবর্ধমান পাসপোর্ট-প্রত্যাশীদের চাপ সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এজন্য নতুন করে আরও পাঁচটি অফিস স্থাপনের আলোচনা চলছে। প্রস্তাবিত অফিসগুলো হবে রাজধানীর মিরপুর, মতিঝিল, গুলশান, নিউমার্কেট এবং ঢাকার অদূরে সাভার এলাকায়। এছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম ও সিলেটে আরও দুটি নতুন অফিস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিআইপি। এ প্রসঙ্গে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু যুগান্তরকে বলেন, আমরা চাই পাসপোর্ট সেবার মান উন্নত হোক। কিন্তু এক জায়গায় বিপুলসংখ্যক লোকসমাগমের ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে ঢাকায় একাধিক পাসপোর্ট অফিস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অধিদপ্তরে জনবলের ঘাটতি রয়েছে। প্রস্তাবিত জনবল পাওয়া গেলে পাসপোর্ট সেবায় আমূল পরিবর্তন আসবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ক্রমেই বিদেশ গমনেচ্ছুদের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পাসপোর্টের চাহিদা। রাজধানী ছাড়াও জেলা-উপজেলার আঞ্চলিক অফিসগুলোয় পাসপোর্ট-প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভিড়। চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা ব্যয় করেও লাভ হচ্ছে না। বরং ফল হচ্ছে উলটো। কাঙ্ক্ষিত সেবা না পেয়ে পাসপোর্ট-প্রত্যাশীদের অনেকেই ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। এছাড়া সংকটের সুযোগ নিচ্ছে দালালচক্র এবং অধিদপ্তরের একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাসপোর্ট অধিদপ্তরে জনবল সংকট প্রকট। বর্তমানে অধিদপ্তরে জনবলের সংখ্যা সাকুল্যে ১ হাজার ৩০০। এর একটি বড় অংশ প্রশাসনিক কাজে যুক্ত থাকায় মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত জনবলের বাস্তব সংখ্যা অনেক কম। জনবল সংকট মেটাতে অন্তত ১০ বছর ধরে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু জনবল নিয়োগের জট খোলেনি। তবে সম্প্রতি নতুন করে চার হাজার জনবলের একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। নতুন জনবল কাঠামো অনুমোদিত হলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সক্ষমতা বহুগুণ বাড়বে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি নানা কারণে পাসপোর্টের চাহিদা বাড়লেও এখনো অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পাসপোর্টধারী নাগরিকের সংখ্যা বেশ কম। দেশের ১৭ কোটি নাগরিকের মধ্যে মাত্র সাড়ে তিন কোটির হাতে পাসপোর্ট রয়েছে। অর্থাৎ মোট জনগোষ্ঠীর মাত্র ২১ শতাংশ পাসপোর্টধারী। পাসপোর্টের উচ্চ ফি এবং জটিল প্রক্রিয়ার কারণে অনেকেই পাসপোর্ট গ্রহণে আগ্রহী নন। এছাড়া পাসপোর্ট সেবা দেশের সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাতগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর