• মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৫২ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গায় আ’লীগের যৌথ সভা অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ২৮ অক্টোবর পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে ১০ অক্টোবর সমন্বিত ট্রানজিট নীতিমালা চূড়ান্ত হচ্ছে অক্টোবরে ভোটের দিন মোটরসাইকেল ব্যবহার করতে পারবেন সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের পাঁচ টার্গেট জমি-ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন খরচ কমছে আখাউড়া-আগরতলা রেল উদ্বোধনের অপেক্ষায় ট্রেনে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলা সুস্থ সমাজ গঠনের অন্যতম অনুষঙ্গ: প্রধানমন্ত্রী বেশি দামে ডলার কেনাবেচা করলেই ‘শাস্তি’ নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত বিজিবি ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই সম্পন্ন হলো থার্ড টার্মিনাল আবারও উন্মুক্ত হচ্ছে প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগ যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রস্তুত ইসি বাণিজ্যের নতুন দ্বার খুলতে পারে উদ্বোধনের অপেক্ষায় বঙ্গবন্ধু টানেল, টোল হার চূড়ান্ত চালু হচ্ছে আরও আড়াইশ নতুন ফায়ার স্টেশন প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন ॥ ৭৭ শিল্পী আঁকবেন ৭৭ প্রতিকৃতি পঁচাত্তরটি বীজ সংরক্ষণাগার নির্মাণ করবে সরকার

জাতিসংঘের গভীর সমুদ্র বিষয়ক চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৮ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও তার সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত জাতিসংঘের একটি চুক্তিতে সই করবে বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিক থাকলে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) ‘বায়োলজিক্যাল ডাইভারসিটি অব এরিয়াস বিয়ন্ড ন্যাশনাল জুরিসডিকশন’ (বিবিএনজে) চুক্তিতে সই করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই চুক্তির মাধ্যমে সবাইকে গভীর সমুদ্রে ভাসমান সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। জাতিসংঘের এই চুক্তির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে— মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে, সেজন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর করতে হবে, অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা যাবে না, পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা করতে হবে, সমুদ্রদূষণ রোধ করতে হবে এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনও দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্র, সেটির ওপর ওই দেশের সার্বভৌম অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান অর্থাৎ মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, সবকিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে শুধু সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, সেটির মালিক ওই দেশ। অন্যভাবে বলা যায়, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পর সমুদ্রে ভাসমান সম্পদ অন্য যেকোনও দেশ আহরণ করার অধিকার রাখে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পর ভাসমান সম্পদ, যা ‘মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস’ নামে পরিচিত, অন্য কোনও দেশ বা কোম্পানি তা আহরণ করলে সেটির একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের, তাকে দিতে হবে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমুদ্র সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ সবসময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছে।’

প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি

এ সংক্রান্ত চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রী নিজে কেন সই করবেন জানতে চাইলে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘এটি সরকারের অন্য কেউ সই করলেও সেটি গ্রহণযোগ্য হবে। কিন্তু একটি দেশের রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধান যখন কোনও ডকুমেন্টে সই করেন, তখন বোঝা যায়— ওই বিষয়ে সরকার অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যখন এটি সই করবেন, তখন বোঝা যায় এটিকে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। তিনি বলেন, ‘গভীর সমুদ্র সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব আছে এবং এ ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার চেষ্টা করছে।

গভীর সমুদ্র থেকে সম্পদ আহরণের জন্য যে প্রযুক্তি প্রয়োজন, সেটির অভাব আছে উন্নয়নশীল দেশগুলোর। ফলে গভীর সমুদ্র থেকে উন্নত দেশগুলো সম্পদ আহরণ করে ব্যবসা করছে। এ বিষয়ে প্রায় চার হাজার প্যাটেন্ট রয়েছে উন্নত দেশগুলোর বলে তিনি জানান। এটি সই করার মাধ্যমে সবকিছু দ্রুত বদলে যাবে না, কিন্তু এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ একটি নিয়মের অধীনে পরিচালিত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর