দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টি ম্যাচে রবিবার (৩১ জুলাই) পাওয়া আঙুলের চোটের কারণে এবারের মতো জিম্বাবুয়ে সফর শেষ হয়ে গেছে সদ্য অধিনায়কত্ব পাওয়া ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানের। স্বাভাবিকভাবেই এখন প্রশ্ন আসছে, সোহান ছিটকে যাওয়াতে শেষ ম্যাচে কে অধিনায়কত্ব করবেন? তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই।
যে কারণে অনেকেই অভিজ্ঞ লিটন দাসের কথাই বলছেন। ভাবা হচ্ছে লিটনই হতে পারেন সম্ভাব্য ও সেরা বিকল্প। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের নামও শোনা যাচ্ছে কারও কারও মুখে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু একটা আভাস দিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নান্নু বলেন, শেষ ম্যাচের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মনোনয়ন করবে ক্রিকেট বোর্ড। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ভাই (জালাল ইউনুস) দ্রুত তা ঘোষণা করবেন।
তাহলে সেখানে কি নির্বাচকদের কোনও ভূমিকা থাকে না? প্রধান নির্বাচকের জবাব, অবশ্যই থাকে। নির্বাচকদের মতামত নেওয়া হয়। আমরা আমাদের পছন্দর কথা জানাই। ক্রিকেট অপরেসন্স ও বোর্ড নীতি নির্ধারণী মহলের তা পছন্দ হলে তারা সেটা গ্রহণ করেন।
এক্ষেত্রে নুরুল হাসান সোহানের বিকল্প হিসেবে বিসিবি কাকে ভাবছে?- জানতে চাইলে নান্নুর জবাব, লিটন হতে পারে। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে তাকেই চোখে পড়ছে। তবে সিদ্ধান্তটা নেবে বোর্ড। আর ঘোষণা দেবেন জালাল ভাই।
এ দিকে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসের কথা শুনে মনে হচ্ছে লিটন দাসই সোহানের সম্ভাব্য বিকল্প। সোমবার (১ আগস্ট) সকালে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে জালাল বলেছেন, বিসিবির তো একটি মতামত থাকবেই। তবে টিম ম্যানেজমেন্ট কী চাচ্ছে সেটাও বিশেষ বিবেচনায় থাকবে। আমরা কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়।
জালাল ইউনুস যোগ করেন, একটি মাত্র ম্যাচের জন্য ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মনোনয়ন করা তো খুব বড় কোনো ব্যাপার না। তবে ম্যাচটি এখন সিরিজ নির্ধারণী খেলা হয়ে গেছে। খুব ক্রশিয়াল ম্যাচ হয়ে গেছে। তাই ভেবেচিন্তেই অধিনায়ক ঠিক করব। তবে লিটন দাসের সম্ভাবনাই বেশি। সব বিচার বিবেচনায় লিটনই হয়তো কালকের ম্যাচের ক্যাপ্টেন।
উল্লেখ্য, গতবছর নিউজিল্যান্ড সফরের টি-টুয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ইনজুরিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন লিটন। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় লিটনের কাঁধে চাপতে পারে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব।
