• বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২ দেশে যাচ্ছে চলনবিলের শুঁটকি পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের হাতিয়ার: স্পিকার এবার ভারত থেকে মাংস আমদানির উদ্যোগ সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী ঢাকা সশস্ত্র বাহিনীতে পাঁচ বছরে যুক্ত হয়েছে ২৩ ধরনের যুদ্ধ সরঞ্জাম অস্ত্র বিস্ফোরক সরঞ্জামসহ আরসা কমান্ডার আটক অর্থনৈতিক অঞ্চলে জমি পাচ্ছে ছয় প্রতিষ্ঠান ই-কমার্স লেনদেনের নীতিমালা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ গুরুত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন আজ সলঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন সলঙ্গায় শাহীন স্কুলের শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ ডিজিটাল পেমেন্ট নিরাপদ করতে নতুন নীতিমালা জারি সার্কভুক্ত দেশগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আমন্ত্রণ জানানো হবে গণমাধ্যমের ওপরেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি টেকনাফে আরসার দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ গ্রেপ্তার ৪ বিকল্প মুদ্রায় লেনদেন চাপ কমবে রিজার্ভে জ্বালানি তেলের ডিলারদের কমিশন বৃদ্ধি করল সরকার ৮ মাসে চা উৎপাদন ছাড়াল ৫৪.৫৮ মিলিয়ন কেজি রাজধানীতে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ফেস্টিভাল

চলনবিলের দিগন্তজুড়ে হলুদের আড়ম্বর

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ১৯ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৩

শীতের শুরুতেই সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের বিস্তীর্ণ মাঠ। মাঠ জুড়ে যেন হলুদের কার্পেট বিছানো হয়েছে। সরিষা চাষ করে কৃষকরা যেমন লাভবান হচ্ছে তেমনি হলুদ ফুল মানুষের বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হয়েছে। হলুদ ফুলে মৌমাছির গুঞ্জন আর সরিষার ফুলের উপর শীতের শিশির কণা মানুষের মনের খোরাক নিবারণ করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, চলনবিল অধ্যুষিত সিরাজগঞ্জের দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে এখন শুধুই হলুদ রঙ। কোথাও ফুলে রঙ আসা শুরু করেছে-কোথাও গাঢ় রঙ ধারণ করেছে। ইরি আর বোরো ধান কাটার পরই সিরাজগঞ্জের কৃষকরা সরিষার চাষ শুরু করেন। চলতি বছর কৃষকরা, বারি-১৪, বারি-১৭ ও বিনা-৯ আধুনিক জাতের সরিষা চাষ হয় এ অঞ্চলে।

দিগন্তজোড়া সরিষা শুধু তেলের চাহিনা নয় গো-খাদ্যের খৈলের চাহিদাও পূরণ করেন। এছাড়াও সরিষা ন্যাড়া জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করেও লাভবান হবার পাশাপাশি মধু চাষিরা মধু সংগ্রহ করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা হয়। সব মিলিয়ে ফলন ভাল হলে লাভবান হওয়ার আশা করছে কৃষকেরা।

কৃষক আমজাদ হোসেন জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করতে ১০-১২ হাজার খরচ হয়। এক বিঘা জমিতে ৬ মন সরিষা পাওয়া যায়। ৪ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি করলে ১০-১২ হাজার টাকা লাভ হয়।

কৃষক আফজাল মাস্টার জানান, সরিষা আবাদ করতে যেমন স্বল্প খরচ হয় তেমনি স্বল্প পরিশ্রম হয়। মাত্র দুটি চাষ দিয়ে সরিষা বোনা হয়। এরপর ফুল আসার আগে একবার, ফুল আসলে একবার আর পাকার আগে একবার ভিটামিন দেয়া হয়। তারপর পুরোপুরি পাকলে ঘরে তোলা হয়।

কৃষক হাসান আলী জানান, সরিষা আবাদ লাভজনক। সরিষার ফুল থেকে হাজার হাজার মন মধু উৎপাদন করা হয়। সরিষার খৈল গো-খাদ্যের চাহিদা পূরণ। সরিষার ন্যাড়া জ্বালানি হিসেবে বিক্রি করা যায়। সরিষার আবাদ সব দিক থেকে লাভজনক।

স্থানীয় যুবক মেহেদী হাসান মুন্না জানান, সরিষা যেমন মানুষের তৈলের চাহিদা পূরণ করে তেমনি মানুষের মনের খোরাকও পূরণ করেন। দিগন্তজুড়ে সরিষা ফুলের আড়ম্বর মানুষের মনের ও হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটায়। এ কারণে দুর-দূরান্ত থেকে শতশত সৌন্দর্য পিপাসু মানুষ শীতের সকাল ও বিকালে চলনবিলাঞ্চলের সরিষা ক্ষেতের আইলগুলোতে ভিড় জমায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্র ধর জানান, সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষরা সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছে। এবছর সিরাজগঞ্জ জেলায় ৬৩ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে-যা গত বছরের চেয়ে প্রায় ৯ হেক্টর জমিতে বেশি জমিতে সরিষার চাষাবাদ হয়েছে। আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলনে বেশি হবে বলে জানালেন এই কৃষি কর্মকর্তা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর