সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ফসলী জমি থেকে ফুলজোর নদী পুনঃখননের মাটি কাটা গত বছরের ২ডিসেম্বর বন্ধ করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ উজ্জল হোসেন। মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল থেকে সেই জায়গায় আবারো মাটি কাটা শুরু করেছে দূর্গানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অফছার আলী বাহিনী। আবারো বিপাকে পরেছে কৃষি জমির মালিকগণ।
এর আগে মাটি কাটার বিষয়ে হেমন্তবাড়ী গ্রাম বাসীর পক্ষ থেকে ৪ডিসেম্বর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদ সদস্য, ৬৫, সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া, জেলা প্রশাসক, সিরাজগঞ্জ, পুলিশ সুপার, সিরাজগঞ্জ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সহকারি কমিশনার (ভূমি) উল্লাপাড়া, অফিসার ইনর্চাজ, উল্লাপাড়া মডেল থানা বরাবর লিখিত অভিযোগ দয়ের করেন। বন্ধের এক মাস পার না হতেই হঠাৎ গতকাল ১০ জানুয়ারি মঙ্গলবার ওই ফসলী জমিতে ব্যাকো (এসকেভেটর) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি শুরু করেছে।
জানা গেছে গত ২০২১-২০২৩ অর্থ’বছরে নদী পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় উল্লাপাড়া উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রবাহীত ফুলজোর নদীর ২১ কিলোমিটার টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) থেকে নদী পুনঃখন করে।
এ সময় ঠিকাদার নদী পুনঃখননের মাটি নদীর দু’পাড়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমিতে রাখা হয়েছিলো। মাটি কোথাও স্থানানস্তর না করায় ওই জমির মালিকেরা কৃষিকার্য করার জন্য সে মাটি তাদের জমিতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে দিয়ে সমান করে সেই জমিতে গত ২ বছর ধরে ধান, আলু, বেগুন সহ বিভিন্ন প্রকার ফসল উৎপাদন করছে কৃষক।
উপজেলার দূর্গানগর ইউনিয়নের হেমন্তবাড়ি গ্রামে নদী পুনঃখননের সে মাটি ফেলানো জমিতে শীতকালীন ফসল আলু, বেগুন সহ না ফসলের চাষ করা হয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন জানান নদী পুনঃখননের মাটি বিক্রির বিষয়টি জানতে পারলাম খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার বিষয়টি গত বছরের ২ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও ) মোঃ উজ্জল হোসেন জানতে পেরে ঘটনা স্থলে জান এবং নদী পুনঃখননের মাটি ফেলানো জমির উপর কৃষকের ফসল বোনা জমি থেকে মাটি কেটে ফসল নষ্ট করায় মাটি বিক্রি করা ও কাটা বন্ধ করে দেন।
