• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
সলঙ্গা থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে সিভি জমা দিলেন সোহেল রানা এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা সলঙ্গায় স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতাকে মারপিট আ’লীগ নেতা আরাফাতকে গ্রেফতার দাবীতে মানববন্ধন সলঙ্গা থানা যুবলীগের সভাপতি পদে সিভি জমা দিলেন রিয়াদুুল ইসলাম ফরিদ ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে সিলেট ও কুষ্টিয়ার সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক

উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হোন

সিরাজগঞ্জ টাইমস / ৪৬ বার পড়া হয়েছে।
সময় কাল : মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমুদ্রে অভিভাবকত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের (বিসিজি) প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তিনি গতকাল সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলানগরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে বিসিজির ২৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিসিজি ডে-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ ও ২০৪০ সালের মধ্যে কোস্ট গার্ডের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে সুনীল অর্থনীতি ও গভীর সমুদ্রে নিরাপত্তা রক্ষায় জাহাজ, সদস্যদের সরঞ্জাম আরো জোরদার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা চাই তথ্য-প্রযুক্তি জ্ঞানসহ কোস্ট গার্ড একটি উন্নত ও শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হোক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বাহিনীর মূলমন্ত্র হলো ‘সমুদ্রের অভিভাবক’, যার অর্থ উপকূলবাসীর প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। অনেক অপরাধমূলক কাজ বন্ধ করে উপকূলের নিরীহ ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কোস্ট গার্ড সসদ্যদের ব্যাপক প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার নিজস্ব জনবল নিয়োগ কর্মকাণ্ড ও বাহিনী পুনর্গঠনের মাধ্যমে বিসিজির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কক্ষপথে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি। এই স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে কোস্ট গার্ডের যোগাযোগ পদ্ধতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ডিজিটাল পদ্ধতি (স্যাটেলাইটের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন) ব্যবহার করে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘এই বাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করতে আমরা উচ্চ প্রযুক্তির জাহাজ, নৌ নজরদারি পদ্ধতি, হোভারক্রাফট ও উচ্চগতির নৌযান চালু করতে যাচ্ছি।’ এ ছাড়া কোস্ট গার্ডকে আরো চারটি ওপিভি, গভীর সমুদ্রে টহল দেওয়ার জন্য ৯টি প্রতিস্থাপনকারী জাহাজ এবং দুটি মেরিটাইম সংস্করণের হেলিকপ্টার নির্মাণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী একটি বোতাম টিপে লক্ষ্মীপুরে বিসিজির নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন করেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং বিসিজির মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কোস্ট গার্ডে গৌরবজনক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাহিনীর মহাপরিচালকসহ বেশ কয়েকজন সদস্যের হাতে পদক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে। এ ছাড়া কোস্ট গার্ডের কর্মকাণ্ড নিয়ে তৈরি একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও তথ্যচিত্রও অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গোপসাগর ও বহু নদী বরাবর বাংলাদেশের রয়েছে বিস্তীর্ণ উপকূলরেখা। বিসিজির সদস্যরা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং উপকূলীয় এলাকার লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। সমুদ্র ও নদী দূষণ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি বন্দরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, পণ্য ও আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান, মানবপাচার, জলদস্যুতা ও অবৈধ মাছ ধরা প্রতিরোধে কোস্ট গার্ড সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ বাহিনী ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় উপকূলীয় অঞ্চলের দুস্থ ও অসহায় মানুষের সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং এভাবে জনগণের আস্থা অর্জন করে তাদের প্রকৃত বন্ধু হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে। প্রধানমন্ত্রী সিলেটের সাম্প্রতিক বন্যায় কোস্ট গার্ড সদস্যদের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথাও স্মরণ করেন।

প্রধানমন্ত্রী চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, উচ্চ মূল্যস্ফীতির হার ও খাদ্যের অপর্যাপ্ততার কথাও দেশবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি প্রতি ইঞ্চি জমি চাষের আওতায় আনার আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন, যাতে কোনো সংকট বিশেষ করে খাদ্য ঘাটতি বাংলাদেশে দেখা দিতে না পারে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে প্রতিটি জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী। তাই আমাদের নতুন নির্মাণসহ প্রত্যেক বিষয়ে কৃচ্ছ সাধন করতে হবে।’ দেশজুড়ে বিসিজি কর্তৃত্বাধীন জমি চাষের পদক্ষেপ নেওয়ায় এই বাহিনীর সদস্যদের ধন্যবাদ জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর